জেলা ছাত্রলীগের একাধিক সূত্র জানায়, ১৯৯৮ সালে মবশ্বির আলীকে জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ও চারজনকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের একটি কমিটি অনুমোদন দেন। তিন মাসের আহ্বায়ক কমিটিতে ২০১২ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত চলে জেলা ছাত্রলীগের কার্যক্রম। এরপর মো. জাকারিয়াকে সভাপতি, হোসেন ওয়াহিদ সৈকতকে সাধারণ সম্পাদক ও জুবায়ের আহমদ তপুকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করে ছাত্রলীগের একটি কমিটি অনুমোদন দেয়। তখন এই কমিটি মেনে না নিয়ে বাতিলের জন্য একটি গ্রুপ জেলা সদরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। তিন সদস্যের কমিটি দুই ধারায় বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন ইউনিটে কমিটি অনুমোদন দিলেও ছাত্রলীগের কার্যক্রম গতিশীল হয়নি। ২০১৫ সালের মাঝামাঝি চলমান কমিটির কার্যক্রম বাতিল করে সভাপতি, সহসভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিকসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে আরেকটি কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্র। জেলা আওয়ামী লীগের তিন বলয়ের সমর্থিত ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের সমন্বয় করে এ কমিটি অনুমোদন দেওয়া হলেও তারাও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে ব্যর্থ হয়।একাধিক ছাত্রলীগ নেতা জানান, কিছু সাবেক ও বর্তমান ছাত্রলীগ নেতা নিজেদের বলয়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ ধরে রাখতে সম্মেলন না করে কেন্দ্র থেকে কমিটি অনুমোদনের জন্য তদবির করেন। এতে পরীক্ষিত, প্রতিশ্রুতিশীল নেতৃবৃন্দ কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে ব্যর্থ হয়। এবারও অতীতের ধারাবাহিকতা বজায়ের আলামত চলছে বলে অনেকে জানান। এদিকে নতুন কমিটিতে পদ পেতে জেলা ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের কেন্দ্রে দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে জেলা ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রক জেলা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের চার বলয়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন। একই সঙ্গে তারা ঢাকা কানেকশনে সরব রয়েছেন।
জেলা ছাত্রলীগে যারা সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন, তারা হলেন আবুল আরশাদ জসীম, আমিরুল ইসলাম চৌধুরী আমিন, আক্তার উদ্দিন, ফয়সল মনসুর, মাহের হোসেন জাকের, তারেক আহমদ, তন্ময় আহমদ, রাসেল আহমদ, মাহবুব আলম, মির্জা মোহন বেগ, তানভীর শিপু, মো. রাব্বি, সাইদুর রহমান উল্লেখযোগ্য।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আছাদুজ্জামান রনি বলেন, জেলার প্রায় সবক’টি ইউনিটে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কেন্দ্র জেলা সম্মেলনের সময়সূচি দিলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্মেলনের আয়োজন করা হবে। তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, সম্মেলন আয়োজনের ব্যাপারে কেন্দ্র কোনো মৌখিক কিংবা লিখিত নির্দেশ দেয়নি।